কি কি বৈশিষ্ট্য দেখলে বুঝবেন আপনি মানসিক চাপে আছেন
দ্রুত ওজন কমাতে নিমপাতা যেভাবে খাবেনকি কি বৈশিষ্ট্য দেখলে বুঝবেন আপনি মানসিক চাপে আছেন? যদি এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনাকে সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। কারণ মানসিক চাপ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
বিভিন্ন কারণে আমাদের মানসিক চাপ হতে পারে। মানসিক চাপ আমাদের মস্তিষ্কে খারাপ প্রভাব ফেলে। তাই এই রোগ নির্ণয় করার জন্য কি কি বৈশিষ্ট্য দেখলে বুঝবেন আপনি মানসিক চাপে আছেন? বিষয় গুলো জেনে নিন।
সূচিপত্রঃ কি বৈশিষ্ট্য দেখা দিলে বুঝবেন আপনি মানসিক চাপে আছেন
- কি কি বৈশিষ্ট্য দেখলে বুঝবেন আপনি মানসিক চাপে আছেন
- মানসিক চাপ কাকে বলে
- মানসিক চাপ হওয়ার কারণ
- মানসিক চাপ নির্ণয় করার লক্ষণ
- মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের উপায়
- মানসিক চাপের নেতিবাচক প্রভাব
- মানসিক চাপ কত প্রকার
- মানসিক চাপ কমানোর ওষুধ
- মানসিক চাপ হলে আমাদের করণীয়
- লেখকের শেষ মন্তব্য
কি কি বৈশিষ্ট্য দেখলে বুঝবেন আপনি মানসিক চাপে আছেন
কি কি বৈশিষ্ট্য দেখলে বুঝবেন আপনি মানসিক চাপে আছেন? এটি বোঝার অনেক কারণ রয়েছে। দৈনন্দিন জীবনে আমাদের কিছু বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন হয়ে থাকে যা থেকে বোঝা যায় আমরা মানসিক চাপে ভুগছি। মানসিক চাপ আমাদের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তোলে। যা আমাদের মস্তিষ্কে খারাপ প্রভাব ফেলে এবং প্রতিদিনের কাজের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ায়। একটি মানুষ যদি মানসিক চাপে বুকে থাকে তাহলে কখনোই সে সঠিকভাবে প্রতিদিনের কাজ পরিচালনা করতে পারবে না।
আরো পড়ুনঃ ম্যাচিউরিটি কাকে বলে - ম্যাচিউরিটির ২২ লক্ষণ
এটি মানুষের বাহিরের জনজীবনকে এবং শারীরিকভাবে অনেক ক্ষতি করে তোলে। তাই মানসিক চাপ থেকে বাঁচতে আগে আমাদের বুঝতে হবে কি কি বৈশিষ্ট্য দেখলে বুঝবেন আপনি মানুষের চাপায় রয়েছেন। বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে চলুন সে সম্পর্কে জেনে নিন।
- হঠাৎ করে আপনার আচার ব্যবহারের পরিবর্তন হওয়া ও উত্তেজিত হওয়া।
- পরিবারের সকলের কাছ থেকে নিজেকে আলাদা রাখা।
- ১৫ দিনের বেশি মন খারাপ বা বিষন্নতা দেখা দেওয়া।
- ফ্যামিলির সাথে কথা বলা বন্ধ করা।
- অন্যদের সাথে অকারনে ঝগড়া লাগ।
- অনিদ্রা দেখা দাও এবং খাওয়াতে অরুচি থাকা।
- নিজের সিদ্ধান্ত নিজে না পারা এবং আত্মহত্যার চেষ্টা করা।
- আপনার পছন্দের কাজগুলো অপছন্দের হয়ে ওঠা।
- ঘরে বা বাইরে, কর্মক্ষেত্রে ওগুলোতে আপনার কাজের অনিহা সৃষ্টি হওয়া।
মানসিক চাপ কাকে বলে
মানসিক চাপ কাকে বলে? এ বিষয়ে আমরা অনেকেই হয়তো সঠিকভাবে জানি না কিন্তু আমরা সকলেই মানুষের চাপের কারণে পড়ে থাকি। কিন্তু এই মানসিক চাপ কাকে বলে সে বিষয়ে আমরা যথেষ্ট ভাবে জানিনা।মানসিক চাপ বেশিরভাগ সময়ে বড় মানুষদেরই ক্ষেত্রে দেখা যায় কিন্তু বর্তমান সময়ে বড় মানুষদের পাশাপাশি ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও মানসিক চাপে প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে।
- যখন একটি বাচ্চার বড় হয় তখন তার বাড়ির বিভিন্ন শাসনের পাশাপাশি স্কুলেও হোমওয়ার্কের বাড়তি চাপ পড়ে। যার কারণে একটি শিশুর মানসিক চাপে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
- বাচ্চারা যখন বন্ধু বান্ধবীদের সাথে মনোমালিন্য কম হয় তখন সে নিজেকে একা বোধ করে যার ফলে মানসিক চাপে বুকে থাকে।
- ফ্যামিলিতে যখন বাবা মার বিচ্ছেদ বা ফ্যামিলিগত নানা কারণের ক্ষেত্রে বাচ্চাদের উপর মানসিক প্রভাব পড়তে পারে।
- প্রিয়জনকে ছেড়ে যাওয়া অনেকদিন ধরে অসুস্থতা বোধ।
- পরিবারের অসচ্ছলতা ও আর্থিক সমস্যার কারণে মানসিক চাপের সৃষ্টি হতে পারে।
- আপনার পরিবেশের অনিরাপদ ব্যবস্থাপনা মানসিক চাপের সৃষ্টি হয়ে থাকে।
- একটি শিশুর বয়স সন্ধির সময় শারীরিক নানা পরিবর্তন মানসিক চাপের কারণ হয়ে থাকে।
মানসিক চাপ হওয়ার কারণ
মানসিক চাপ হওয়ার কারণ সম্পর্কে আমাদের জেনে থাকা উচিত মানসিক চাপ বর্তমান সময়ে একটি মারাত্মক রোগ হয়ে উঠেছে এবং দিন দিন এর প্রভাব বিস্তার করছে আরো ভয়ংকর ভাবে মানসিক চাপ হওয়ার ফলে আপনার জনজীবনকে ধ্বংস করে দিতে পারে আপনার দৈনন্দিন জীবনের কাজে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে তাই আমাদের সুন্দর অসুস্থ হবে বেঁচে থাকতে হলে নিতে হবে। আমরা অনেক সময় যে কাজটি করতে চাই এবং সঠিক অসুস্থভাবে সে কাজটি করতে না পারাটা আমাদের কাছে মানুষের চাপ হওয়ার কারণ।
মানসিক চাপ অনেকটাই আমাদের মস্তিষ্কের উপর প্রভাব ফেলে থাকে আমরা যে কাজ যেভাবে করার চিন্তা করি সেটির ভিন্ন হলেই আমরা মানসিক চাপের আক্রান্ত হয়।যখন আমরা কোন ইতিবাচক ধ্যান-ধারণা সম্পর্কে ভেবে থাকি তখন আমরা অনেক খুশি হয়ে থাকি এবং যখন আমরা নৈতিবাচক ধারণাগুলো ভাবতে থাকি তখন আমরা অনেক সময় মানসিক চাপে আক্রান্ত হয়ে থাকি। ধারণার মধ্যে কষ্ট দুঃখ খারাপ ধারণা ইত্যাদি রয়েছে তাই আমাদের মনে থাকতে হবে সময় যেমন হোক না কেন আমাদের সব সময় ইতিবাচক ধ্যান ধারণা সম্পর্কে ভাবতে হবে। কারণ ইতিবাচক ধারণা সবসময় মস্তিষ্ককে ভালো রাখে এবং মানসিক চাপ কমায়।
মানসিক চাপ নির্ণয় করার লক্ষণ
মানসিক চাপ নির্ণয় করার লক্ষণ রয়েছে লক্ষণ গুলো সম্পর্কে আমাদের জানা দরকার আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদের আমরা কি কি বৈশিষ্ট্য দেখলে বুঝবেন আপনি মানসিক চাপে আছেন? এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন মানুসিক চাপ খুবই মারাত্মক একটি রোগ। এ থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই আমাদের মানসিক চাপ নির্ণয় করার লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানতে হবে। আপনাদের সামনে মানসিক চাপ নির্ণয় করার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ উল্লেখ করা হলো।
- হঠাৎ করে উত্তেজিত হয়ে ওঠা
- খাওয়াতে অরুচি বমি বমি ভাব
- বদহজম, অনিদ্রা, দ্রুত হার্টবিট বেড়ে যাওয়া
- ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া
- খাওয়া কম বেশি হলে ওজন কমে যাওয়া
- মাথা ব্যথা ও মাথা ঘোরা
- সব সময় অসস্থি বোধ এবং দীর্ঘ সময় অসুস্থ হয়ে থাকা
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের উপায়
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের উপায় গুলো সম্পর্কে আপনাদের আমরা বিস্তারিত ভাবে জানাবো মানসিক রোগ যেমন একটি জীবনকে ধ্বংস করে দিতে পারে ঠিক তেমনি মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ উপায় গুলো জানলে আপনার জীবনকে আবার নতুন করে সাজাতেও পারে তাই সঠিক ও সুন্দরভাবে জীবন পরিচালনার জন্য মানসিক চাপ থেকে নিয়ন্ত্রণের উপায় সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। বর্তমান সময়ে মানসিক চাপে ভোগেন না এমনই মানুষ প্রায় কমই দেখা যায়। ছোট থেকে বড় সকলে মানসিক চাপে আক্রান্ত রয়েছে। তাহলে চলুন এই মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের উপায় গুলো কি সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক
প্রিয়জনের সাথে যোগাযোগ করুন -- মানসিক চাপ কমানোর বা নিয়ন্ত্রণের উপায় হিসেবে আপনি আপনার প্রিয়জনকে সময় দিন তার সাথে যোগাযোগ করুন এবং আপনার মনের সকল কথাগুলো তার সাথে শেয়ার করুন দেখবেন আপনার মানসিক চাপ গুলো অনেকটাই কমে গেছে।
নিজ নিজ ধর্মে মনোযোগী হওয়া -- মনে প্রশান্তি দেওয়ার সবচাইতে উত্তম মাধ্যম হলো সৃষ্টিকর্তার নিকটবর্তী হওয়া কারণ সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আমাদের মনের দুঃখ বোঝেনা। তাই সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করে আমাদের মনের সকল দুঃখ কষ্ট গুলো উজাড় করে তাকে বলা এবং তার কাছ থেকে শান্তি ও রহমত চাওয়া। যখন আমরা সৃষ্টিকর্তার কাছে দুই হাত তুলে মোনাজাত করি তখন অনেকটাই শান্তি বোধ হয় এবং মানসিক চাপ কমে যায়।
পছন্দের জায়গায় ঘুরতে যাওয়া -- জীবনের ক্লান্তি ও অসস্তি ভাব দূর করতে আপনার পছন্দের জায়গায় ভ্রমণ করতে পারেন। এতে করে আপনি মানসিক প্রশান্তি অনুভব করবেন। সংসার জীবন থেকে কিছুটা সময় নিজের জন্য ব্যয় করুন এবং প্রাকৃতিক অনুভব করুন।
মানসিক চাপ কমানোর ব্যায়াম -- আমরা অনেকেই হয়তো জানি না যে মানসিক চাপ কমানোর ব্যায়াম রয়েছে যা আমাদের মস্তিষ্ক বা শরীরকে প্রশান্তি দিয়ে থাকে। প্রতিদিন নিয়ম করে যোগ ব্যায়াম করুন। শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন। কয়েকটি যোগ ব্যায়াম রয়েছে যা আপনার শরীরকে সুস্থ রাখবে। আর এই যোগ ব্যায়ামের সঠিক সময় হল সূর্য অস্তের সময়।
আপনার পছন্দের কাজ গুলো বেশি বেশি করুন -- একটি মানুষের জীবনে পছন্দের অনেক কিছুই রয়েছে আমাদের যখন মানসিক চাপে আক্রান্ত হয়ে থাকি তখন সে পছন্দের জিনিসগুলো থেকে সরে থাকি যা আমাদের করা একদম উচিত নয় এ সময় মানসিক চাপ কমাতে অবশ্যই আমাদের পছন্দের জিনিস গুলো বেশি বেশি করতে হবে হোক সেটা রান্না বা পছন্দের গান বা পছন্দের বিভিন্ন টকশো ।
নিজেকে সময় দেওয়া -- কর্মব্যস্ততার সময় নিজেকে একটু সময় দিন নিজের প্রতি যত্নশীল হোন নিয়মিত শরীর চর্চা করুন দেখবেন অনেকটাই প্রশান্তি অনুভব করছেন।
মানসিক চাপের নেতিবাচক প্রভাব
কি কি বৈশিষ্ট্য দেখলে বুঝবেন আপনি মানসিক চাপে আছেন? আশা করি এই বিষয়গুলো জানতে পেরেছেন। মানসিক চাপের নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের আর্টিকেলের চোখ রাখুন। মানসিক চাপের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম ঘটনা ঘটে থাকে এক এক সময় কাজের চাপ অতিরিক্ত থাকে আবার কোন সময় খুব আরামে দিনটা কেটে যায়। আবার কোন কোন দিন অতিরিক্ত টেনশন এবং মানসিক অশান্তি আমাদের মাঝে বিরাজ করবে।
এ ঘটনা গুলো স্বাভাবিকভাবে ধরা যায় কিন্তু আপনার সাথে যদি এটি বারবার এবং ঘন ঘন হতেই থাকে তাহলে এটি অস্বাভাবিকের কারণ হতে পারে এবং অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণ হতে পারে যার ফলে মানসিক চাপের নেতিবাচক প্রভাব আমাদের শরীরের দেখা দিয়ে থাকে।
উচ্চ রক্তচাপ -- একজন মানুষ যখন অতিরিক্ত টেনশন এ ভোগে থাকে তখন তার হার্টবিট অনেকটাই দ্রুত ভাবে বেড়ে যায়। এবং এর ফলে রক্তনালী গুলো সংকুচিত হয়ে উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে। এবং এটি ঘন ঘন ঘটে থাকলে হাইপারটেনশন সাথে সাথে স্ট্রোকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শরীরে প্রদাহ বা ব্যথা -- অতিরিক্ত টেনশনের ফলে আমাদের শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে একটি হল প্রদাহ বা ব্যথা। আমরা যখন খুব বেশি টেনসনে ভেবে থাকি তখন আমাদের শরীরের বেশিগুলো ক্ষতিকারক আকার ধারণ করে থাকে। যাকে টেনসড বলা হয়ে থাকেযার ফলে মাথা ব্যথা প্রদাহ ও পিঠে ব্যথার মত সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে
টাইপ-২ ডায়বেটিস -- খুব বেশি দুশ্চিন্তা ও মানসিক ছাদ থেকে ডায়াবেটিসের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত টেনশনে ও মানুষের চাপের ফলে লিভারে চিনির উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যার ফলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস এর সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
ওজন বৃদ্ধি পাওয়া বা কমে যাওয়া -- আমরা যখন মানসিক চাপে ভোগে থাকি তখন আমাদের শরীরের শক্তি অনেকটাই কমে যায় যার ফলে আমাদের খাওয়ার প্রবণতা দেখা দিয়ে থাকে। এ সময়ে খাওয়ার অরুচি বাদ হজমের মত সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে আবার কারো ক্ষুধা মন্দা বেড়ে যায় তাই এ সময় ওজন বৃদ্ধি পাওয়া এবং কমে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।
চেহারায় বয়সের ছাপ -- অতিরিক্ত মানসিক চাপের ফলে ও দুশ্চিন্তার ফলে আমাদের ত্বকের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। যার ফলে ত্বকের নতুন কোষ উৎপাদনের কর্মক্ষমতা অনেকটাই কমিয়ে ফেল। এতে করে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলে এবং খুব সহজেই বয়সের ছাপ পড়ে যায়।
মানসিক চাপ কত প্রকার
মানসিক চাপ কত প্রকার সে সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক। সাধারণত বিভিন্ন কারণে আমাদের মানসিক চাপ হয়ে থাকে এগুলোকে প্রকারভেদ বলা হয়। কিন্তু মানসিক চাপ একটা কারণে হয়ে থাকে যদি অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা হয় তাহলে। সাধারণত আমরা যখন কোন বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা করি এবং এই বিষয়টি যখন দুশ্চিন্তায় পরিণত হয় সাধারণত তখন মানসিক চাপ বেড়ে যায়। মানসিক চাপ হওয়ার বিভিন্ন প্রকারভেদ নিচে উল্লেখ করা হলো।
- অতিরিক্ত চিন্তা
- অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা
- ইচ্ছাপূরণ চিন্তা
- সুড়ঙ্গ দৃষ্টি
- ব্যক্তিগতকরণ
- অনুশোচনা বোধ
মানসিক চাপ কমানোর ওষুধ
কি কি বৈশিষ্ট্য দেখলে বুঝবেন আপনি মানসিক চাপে আছেন? এই বিষয়টি যেহেতু ইতিমধ্যে জেনেছেন সেও তো আপনাকে জেনে রাখতে হবে যে মানসিক চাপ কমানোর ওষুধ কোনগুলো? আপনাদের সুবিধার্থে একটি বিষয় জানিয়ে রাখি যে মানসিক চাপ কমানোর কোন ঔষধ নেই। যারা মনে করে যে ওষুধ খাওয়ার ফলে মানসিক চাপ কমে যাবে আসলে বিষয়টি ভুল। মানসিক চাপ হল মস্তিষ্ক এবং আমাদের মনের বিষয়। যা ওষুধ খাওয়ার ফলে কখনোই সমাধান হওয়ার কথা নয়।
আরো পড়ুনঃ নিয়মিত গাজর খেলে যেসব রোগ দূরে থাকবে
তবে আপনাকে যদি কেউ মানসিক চাপ কমানোর জন্য ওষুধ দিয়ে থাকে তাহলে আপনাকে অবশ্যই ভালো মানের একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আপনি যদি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ওষুধগুলো খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার শারীরিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদি আপনি এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্ত থাকতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই মানসিক চাপের কোন ধরনের ওষুধ খাওয়া যাবে না। এতে করে শরীরের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে।
মানসিক চাপ হলে আমাদের করণীয়
মানসিক চাপ হলে আমাদের করণীয় রয়েছে। সাধারণত আমরা ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি যে আমরা কিভাবে মানসিক চাপ থেকে নিজেকে মুক্ত করবো। যদি আপনি মনে করেন যে আপনি মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছেন তাহলে আপনাকে প্রথমে এর কারণ খুঁজে বের করতে হবে। যে কোন রোগের কারণ খুঁজে বের করলে আমরা খুব সহজেই সে রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় জানতে পারবো। মানসিক চাপ হলে আমাদের প্রধান করণীয় এর কারণ খুঁজে বের করা।
কারণ খুঁজে বের করার পরে যে সকল উপায় আমরা উল্লেখ করেছি সাধারণত এগুলো অনুসরণ করা। এর পরের বিষয় হলো আমাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলা এই বিষয়ে। আমরা যদি মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে চাই তাহলে অবশ্যই আমাদের পরিবারের সদস্যদেরকে এই বিষয়গুলো জানাতে হবে। এরপরে আমাদের বন্ধুবান্ধবের সাথে শেয়ার করতে হবে। যদি তাও সমাধান না পাওয়া যায় তাহলে আমাদের পছন্দের জায়গায় ঘুরতে যেতে হবে অথবা নিজের জীবনকে উপভোগ করতে হবে।
লেখকের শেষ মন্তব্য
কি কি বৈশিষ্ট্য দেখলে বুঝবেন আপনি মানসিক চাপে আছেন? এই বিষয়ে আলোচনা শুরু করে বিস্তারিত ভাবে মানসিক চাপ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এখন আপনি যদি মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে আপনাকে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। কারণ এখানে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার বিস্তারিত বিষয় গুলো উল্লেখ করা হয়েছে।
আশা করছি আমাদের আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাবেন। এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক বিষয় নিয়মিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। 20791
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url