পুডিং বানানোর নিয়ম
পুডিং কত ঘন হওয়া উচিতপুডিং বানানোর নিয়ম নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলটি। সাধারণত আমরা অনেকেই পুডিং খেতে পছন্দ করে থাকি। কিন্তু এটি কিভাবে বানাতে হয় সাধারণত এই সম্পর্কে আমাদের তেমন কোন ধারনা নেই। পুডিং বানানোর পদ্ধতি অনেক সহজ।
আপনি যদি ঘরে বসে থেকে সুস্বাদু পুডিং বানাতে চান তাহলে আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। পুডিং বানানোর নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। যা আপনাকে এই বিষয়ে ধারণা দিতে সাহায্য করবে।
পেজ সূচিপত্রঃ পুডিং কিভাবে বানাতে হয় তার নিয়ম বিস্তারিত
- পুডিং বানানোর নিয়ম
- পুডিং বানানোর জন্য কি কি লাগে
- পুডিং হতে কত সময় লাগে
- পুডিং দ্রুত ঠান্ডা করার উপায়
- পুডিং এর স্বাদ বৃদ্ধি করার উপায়
- পুডিং ফ্রিজে সেট হতে কত দিন সময় লাগে
- পুডিং কত ঘন হওয়া উচিত
- ভাতের পুডিং কতদিন ফ্রিজে রাখা যায়
- কোন চালের পুডিং সবচাইতে ভালো
- আমাদের শেষ কথা
পুডিং বানানোর নিয়ম
পুডিং বানানোর নিয়ম জানার প্রতি অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করে। সাধারণত বিকালের নাস্তা হিসেবে আমরা বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকি। এখন আপনি যদি বিকেলের খাবার হিসেবে পুডিং খেতে চান তাহলে খুব সহজেই রান্না করতে পারেন। বিশেষ করে যারা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করে সাধারণত তারা এই পুডিং বেশি খায়। আপনাদের সুবিধার্থে বলে রাখি পুডিং বানানোর পদ্ধতি অনেকটাই সহজ। সাধারণত এই সহজ পদ্ধতি গুলো বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করব আজকের এই আর্টিকেলে।
আরো পড়ুনঃ অনলাইনে ইনকাম করার উপায় ২০২৪
১। প্রথমে আপনাকে একটি পাত্রে এক লিটার দুধ নিতে হবে এরপরে জ্বাল দিয়ে সেগুলোকে অর্ধেক করে নিতে হবে। যখন অর্ধেক হয়ে যাবে সাধারণত নাম নিয়ে ঠান্ডা করে নিতে হবে। সাধারণত এরপরে একটি বাটিতে ডিম নিয়ে ভালোভাবে ফাটিয়ে এতে চিনি মিশিয়ে দিতে হবে। যদি খুব ভালোভাবে ফাটানো হয়ে যায় তাহলে কি বা মাখন দিতে হবে এতে করে স্বাদ অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে এরপরে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে।
২। সাধারণত এরপরে একটি বাটি নির্বাচন করতে হবে যেখানে আপনি পুডিং তৈরি করতে চান। সেই বাটিতে কিছুটা চিনি একেবারে নিচের দিকে ছড়িয়ে দিতে হবে। এক চামচ চিনি বাটির নিচে রেখে হালকা পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিতে হবে। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে দেখতে পাবেন যে চিনিগুলো গলে শিরা তৈরি হয়ে লাল ক্যারামেলের মত আকার ধারণ করেছে। সাধারণত এরপরে বাসটিকে চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিতে হবে। সাধারণত এর পরে ডিম চিনির মিশ্রনে ঠান্ডা হয়ে যাওয়া দুধ ঢেলে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।
৩। এক্ষেত্রে ডিম গরম রাখা যাবে না। সাধারণত তাই দুধ গুলোকে ঠান্ডা করে নিয়ে তারপরে মেশাতে হবে। ঠান্ডা হয়ে যাওয়া চিনির শিরা করে রাখা বাটিতে সম্পূর্ণ উপাদানটি মিশিয়ে দিতে হবে। সাধারণত এরপরে একটি বড় সসপ্যান এর মাধ্যমে চুলাই বসিয়ে দিতে হবে। সাধারণত এর মাঝখানে একটি বড় পাতিল রাখার স্ট্যান্ড বসিয়ে দিতে হবে। সাধারণত এর ১/৪ অংশ পানি রাখতে হবে। পুডিংয়ের বাটিটি স্ট্যান্ডের উপরে রেখে ঢেকে দিতে হবে। সাধারণত এরপর পর্যাপ্ত পরিমাণে তাপ দিতে হবে।
৪। প্রায় আধা ঘন্টা মতো তাপ দিয়ে পুডিং ভালোভাবে চেক করতে হবে। যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে গরম হয়ে যায় তাহলে চুলা থেকে নামিয়ে নিতে হবে এবং ঠিকঠাক আছে কিনা তা পরীক্ষা করে নিতে হবে। সাধারণত এরপরে পুডিংয়ের বাটি হালকা পাতলা ঠান্ডা করে নিতে হবে এরপরে ভালো একটি প্লেটে উল্টো করে ঢেলে নিতে হবে। দেখবেন সুন্দর করে পুডিং তৈরি হয়ে গিয়েছে। কিভাবে আপনাকে পুডিং তৈরি করতে হবে।
পুডিং বানানোর জন্য কি কি লাগে
পুডিং বানানোর জন্য কি কি লাগে? চলুন এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। আপনি যদি প্রথমবারের মতো পুডিং বানাতে চান তাহলে আপনাকে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে অবশ্যই ধারণা রাখতে হবে কারণ প্রথমবার বানানোর কারণে অনেক সময় আমাদের ভুল হয়ে যায়। পুডিং বানানোর জন্য বেশ কিছু উপকরণ প্রয়োজন হয় আর এই উপকরণ গুলো আপনাকে হাতের কাছে রেখেই বানাতে হবে। বিশেষ করে আপনি যদি সুস্বাদু পুডিং বানাতে চান তাহলে।
পুডিং বানানোর জন্য যা প্রয়োজন হয় এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো দুধ ১ লিটার, প্রয়োজন মতো চিনি, ৪টি ডিম, ঘি বা মাখন আধা চামচ, একটি বাটি ইত্যাদি। যদি আপনার কাছে এই উপকরণ গুলো থাকে তাহলে খুব সহজেই উপরের নিয়ম অনুসরণ করে বাড়িতে থেকেই রেস্টুরেন্ট এর চাইতে ভালো পুডিং বানাতে পারবেন। তাই আপনাদের অনুরোধ করবো আপনি পুডিং বানানোর ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করুন।
পুডিং হতে কত সময় লাগে
পুডিং বানানোর নিয়ম বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আমরা যারা প্রথম বারের মতো এই মজাদার খাবারটি বানাতে চাই সাধারণত তাদের এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। আপনি যদি ভালোভাবে উপরের আলোচনা গুলো পড়ে থাকেন তাহলে লক্ষ্য করেছেন যে পুডিং তৈরি করতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয় না। আপনি যদি সঠিক নিয়ম অনুসরণ করেন তাহলে অল্প সময়ের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে।
আমরা যারা পুডিং খেতে পছন্দ করি সাধারণত তারা দোকানে গিয়ে অনেক দাম দিয়ে কিনে খাই। সাধারণত আপনি এত টাকা খরচ না করে বাড়িতে এর অর্ধেক টাকায় তার চাইতে মজাদার পুডিং তৈরি করতে পারবেন। আপনাকে শুধু উপরের এ বিষয় গুলো অনুসরণ করতে হবে। সকল পদ্ধতি অনুসরণ করার পর পুডিং চুলায় দেওয়ার ২০ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে চুলার তাপ বাড়িয়ে রাখতে হবে। তবে অতিরিক্ত তাপ দেওয়া যাবে না।
পুডিং দ্রুত ঠান্ডা করার উপায়
পুডিং দ্রুত ঠান্ডা করার উপায় সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। চুলা থেকে এ উপাদানটি নামানোর পর সাধারণত খাওয়া যায় না এর জন্য ঠান্ডা করতে হয়। যারা খাওয়ার প্রতি অনেক বেশি আগ্রহী সাধারণত তারা ঠান্ডা করার সময়টুকু দেয় না। কিন্তু বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে সাধারণত এই পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করে আপনি খুব সহজেই এবং অল্প সময়ের মধ্যেই পুডিং ঠান্ডা করতে পারবেন। আমাদেরকে এই ঠান্ডা করার পদ্ধতি গুলো জেনে নিতে হবে।
দ্রুত পুডিং ঠান্ডা করার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল একটি বড় অগভীর শীট প্যানে ঢেলে নিতে হবে। সাধারণত এর আগে আমাদেরকে সম্পূর্ণ পৃষ্ঠটিকে প্লাস্টিক অথবা মোমের কাগজ দিয়ে ভালোভাবে ঢেকে দিতে হবে। অথবা ফ্রিজে ঢুকিয়ে দিতে হবে। এতে করে আমাদের পুডিং খুব তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হয়ে যাবে। ঠান্ডা হয়ে গেলে একটি বড় পাত্রের মধ্যে ঢেলে নিতে হবে এবং খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।
পুডিং এর স্বাদ বৃদ্ধি করার উপায়
পুডিং বানানোর নিয়ম যেহেতু আলোচনা করেছি সেহেতু আমাদেরকে পুডিং এর স্বাদ বৃদ্ধি করার উপায় গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। সাধারণত আমাদের যখন কোন কিছুর মিষ্টি খেতে মন চাই তখন আমরা বাড়িতে বসে থেকেই এই ধরনের খাবার গুলো তৈরি করে থাকি। কোন ধরনের উপকরণ গুলো প্রয়োজন সাধারণত আমরা ইতিমধ্যেই জানিয়েছি। এই উপকরণ গুলোর সাথে আরও বেশ কিছু উপকরণ যুক্ত করে আপনি এর স্বাদ বৃদ্ধি করতে পারবেন।
যখন পুডিং বানানোর জন্য উপকরণ গুলো একসাথে যুক্ত করেন সাধারণত তখন এক চামচ ভ্যানিলা নির্যাস যুক্ত করতে পারেন এতে করে স্বাদ আগের থেকে অনেকটা বৃদ্ধি পাবে। আপনি যদি চকলেট পুডিং তৈরি করতে চান তাহলে এর সাথে আরো কিছু এসপ্রেসো পাউডার যুক্ত করতে পারেন এতে করে চকলেটের স্বাদ বৃদ্ধি পাবে। সাধারণত অনেকেই ডিমের গন্ধ সহ্য করতে পারে না এটি নষ্ট করার জন্য আপেল সিডার ভিনেগার যুক্ত করতে পারেন।
পুডিং ফ্রিজে সেট হতে কত দিন সময় লাগে
পুডিং ফ্রিজে সেট হতে কত দিন সময় লাগে? এবং কিভাবে করতে হয়? চলুন এই বিষয়টি সম্পর্কে এখন জেনে নেওয়া যাক। পুডিং তৈরি করার পরে এটিকে ফ্রিজে রাখতে হয় সাধারণত এই বিষয়ে আমাদের তেমন কোন ধারণা নেই যার ফলে সঠিকভাবে পুডিং বানাতে পারি না। আপনি যদি এটি সঠিক নিয়মে বানাতে চান এবং খেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই কঠিন তৈরি করার পরে এটিকে ফ্রিজে রাখতে হবে। চুলা থেকে পুডিং নামানোর পরে সাধারণত এটিকে এক থেকে দুই ঘন্টার জন্য ফ্রিজে রেখে দিতে হবে।
পুডিং কত ঘন হওয়া উচিত
পুডিং বানানোর নিয়ম আলোচনা করার সময় আমরা জানতে এবং বুঝতে পেরেছি যে কিভাবে এটিকে বানাতে হয়? এখন বিষয় হচ্ছে আপনি পুডিং যত বেশি ঘন করবেন এটি খেতে তত বেশি মজাদার হবে। পুডিং খেতে মজাদার করার জন্য আমাদেরকে চিনির শিরা ভালোভাবে তৈরি করতে হবে এবং এটিকে বেশি করে ঘন করতে হবে। এই খাবারটি কত ঘন হওয়া উচিত সাধারণত আমাদেরকে আগে থেকেই বিষয়টি জেনে নিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন ৫০০ টাকা ইনকাম করার ১৯ টি সেরা উপায়
পুডিং ঘন করতে চান তাহলে চিনি বেশি করে ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ করে আপনি যখন চিনির শিরা তৈরি করবেন সাধারণত তখন আপনাকে এই বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে। পুডিং তৈরি করার পাত্রে চিনি দিয়ে অতিরিক্ত পানি দেওয়া যাবে না। যদি অতিরিক্ত পানি ব্যবহার করা হয় তাহলে এটি নরম হয়ে যাবে তাই হালকা পানি ব্যবহার করে গরম করতে হবে বেশি করে যতক্ষণ পর্যন্ত না লাল হয়ে গিয়েছে। সাধারণত এর ফলেই এটি ঘন হবে।
ভাতের পুডিং কতদিন ফ্রিজে রাখা যায়
ভাতের পুডিং কতদিন ফ্রিজে রাখা যায়? চলুন এখন এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। সাধারণত যে কোন খাবার আমরা ফ্রিজে দীর্ঘদিন পর্যন্ত রেখে দেই যার ফলে খাবারটি ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায় এবং সম্পূর্ণ ফ্রিজে সেই খাবারের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন উপকরণের পুডিং তৈরি করা যায় আপনি যদি চান তাহলে ভাতের পুডিং তৈরি করতে পারবেন তবে এই পুডিং সর্বোচ্চ কতদিন ফ্রিজে রাখতে পারবেন? এই বিষয়টি সম্পর্কে অবশ্যই আপনার পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে।
বাড়িতেই বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে ভাতের চাল দিয়ে যে পুডিং তৈরি করা হয় সাধারণত তাকে রাইস পুডিং বলা হয়ে থাকে। যদি আপনি সঠিক পদ্ধতিতে এটি তৈরি করতে পারেন তাহলে এটি ফ্রিজে সর্বোচ্চ পাঁচ থেকে সাত দিন পর্যন্ত রাখা যায়। যদি এর থেকে বেশি দিন রাখেন তাহলে এটি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যদি আরো কয়েক দিন বেশি ফ্রিজে রাখতে চান তাহলে পুডিং ফ্রিজে রাখার সময় অবশ্যই ঢেকে রাখুন।
কোন চালের পুডিং সবচাইতে ভালো
কোন চালের পুডিং সবচাইতে ভালো? যারা প্রথম বারের মতো এই খাবারটি তৈরি করে তারা এ বিষয় গুলো সম্পর্কে বেশি জানতে চাই। আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি যে চাল দিয়ে যে পুডিং তৈরি করা হয় সাধারণত থেকে ইংরেজিতে রাইস পুডিং বলা হয়ে থাকে। অন্যান্য পুডিং এর চাইতে এটি খেতে অনেক বেশি মজাদার হয়ে থাকে। আপনি যদি পুডিং লম্বা দানার সাদা চাল দিয়ে তৈরি করেন তাহলে সব থেকে বেশি মজা পাবেন খেয়ে। আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা থাই জেসমিন চাল ব্যবহার করে থাকে পুডিং তৈরি করার জন্য। পুডিং তৈরি করার জন্য যদি আপনি সুগন্ধযুক্ত বাসমতি চাল ব্যবহার করেন তাহলে সবথেকে বেশি উপকৃত হবেন।
আমাদের শেষ কথা
পুডিং বানানোর নিয়ম নিয়ে আলোচনা শুরু করে পুডিং সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি প্রথমবারের মতো এই খাবারটি তৈরি করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার উচিত আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে নেওয়া। এতে করে আপনি পুডিং সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন এবং সে অনুযায়ী তৈরি করলে খেতে অনেক মজা পাবেন।
এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক বিষয় নিয়মিত জানতে হলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। 25427
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url